কঠোর লকডাউনেও পোশাক কারখানা চালু রাখতে চায় মালিকপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউনে পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি

সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। এসময়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

তবে কঠোর লকডাউনের সময় রফতানিমুখী কারখানা বিশেষ করে পোশাক কারখানা এর আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থায় এনে উৎপাদনে থাকতে চান তারা।

universel cardiac hospital

উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রফতানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

পোশাক মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর একাধিক সদস্য মনে করেন, তৈরি পোশাক কারখানা এই লকডাউনের বাইরে থাকা উচিত। কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাবে। কারখানা খোলা থাকলে কারখানা সংলগ্ন এলাকার শ্রমিক ও নিজস্ব পরিবহণে কর্মরতদের এনে উৎপাদনে থাকতে চায় মালিকপক্ষ।

তাদের দাবি, এর আগে সরকারের প্রথম দফায় লকডাউনের কারণে বেশ কিছু শ্রমিক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন যারা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালাতে পারবে না তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। তখন থেকেই শ্রমিকের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কারখানা চালু রাখা হয় যা আজও অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, এ মুহূর্তে কারখানাকে লকডাউনের আওতায় আনলে শিপমেন্ট হবে না, টাকাও আসবে না ব্যাংক থেকে। তবে শিপমেন্ট হলে ব্যাংক থেকে টাকা আসবে এতে চলতি ও আগামী মাসের সাথে বোনাসও সমন্বয় করে শ্রমিকের হাতে তুলে দিতে পারবো।

তিনি বলেন, এর আগে করোনার ধরন বোঝা গেলেও এবার কিছুই বুঝতে পারছি না। এটা ভয়ের একটা কারণ বলা যায়। আমাদের এ ভয় থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানাটা আরও কঠোর হয়। শ্রমিক বাঁচলে কারখানা বাঁচবে আবার কারখানা টিকিয়ে রাখতে উৎপাদনও প্রয়োজন। আসছে ঈদে বেতন-বোনাসসহ রানিং মাসের ১৫ দিনের বেতনও দিতে হবে। আবার শ্রমিকও বাঁচাতে হবে। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করছি আগের মতোই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের নতুন করে বিধি-নিষেধ নিয়ে বলার নেই। আগের মতোই কঠোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঠিক রেখে উৎপাদনে থাকতে হবে। তাছাড়া আমাদের মনিটরিংও রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা শতভাগ মেনেই আগের মতো উৎপাদনে থাকতে চাই। এ বিষয় নিয়ে কোনো কারখানার কোনো অজুহাত আগেও শোনা হয়নি এখনো হবে না।

শেয়ার করুন