দুই বন্ধুর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বাহরাইনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিরপরাধ বাংলাদেশি যুবক আব্দুল হাকিম (৪০)। শনিবার সরেজমিনে আব্দুল হাকিমের পৈতৃক নিবাস কচুয়ার বদরপুর পূর্বপাড়া (নৈয়র পুকুরপাড়) গ্রামে গিয়ে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।
চাঁদপুরের কচুয়ার সদর ইউনিয়নের বদরপুর পূর্বপাড়া (নৈয়র পুকুরপাড়) গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুল হাকিম। বাবা-মা কষ্ট করে সহায় সম্বল বিক্রি করে বাহরাইনে পাঠান আব্দুল হাকিমকে। এর মধ্যে দু’বার দেশে ফিরে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে তৃতীয় বারের মতো বাইরাইন যান আব্দুল হাকিম।
আব্দুল হাকিমের (৪০) স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে জেলে থাকায় নাতি-নাতনিদের নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা বলে জানান আব্দুল হাকিমের কৃষক বাবা মো. সিরাজ মিয়া।
কান্নায় জড়িত কণ্ঠে কৃষক সিরাজ মিয়া ও তার স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, দুই বন্ধু সিলেট জেলার জহির ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাসুম আমার ছেলে আব্দুল হাকিমকে ফোন করে বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে একটি ব্যাগ বাহরাইনে নিয়ে যেতে বলে।
ওই ব্যাগ নিয়ে বাহরাইন এয়ারপোর্টে পৌঁছালে ব্যাগে তল্লাশি করে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) বহনের অপরাধে তাকে জেলে পাঠায় বাহরাইন পুলিশ। সেই থেকে তিন বছরেরও বেশি সময় জেল খাটছেন আব্দুল হাকিম। নিরপরাধ ছেলে কবে মুক্তি পাবে তা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ নিরীহ পরিবারটি।
প্রতিবেশী ক্বারী মাহবুব এলাহী, মকবুল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, আব্দুল হাকিম আমাদের এলাকার নিরীহ ছেলে। তিনি দেশে থাকতে কখনো অসামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন না। নিরীহ ছেলে আব্দুল হাকিমকে দ্রুত ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাহরাইনে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার।