তালেবান জোর করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলেও পাকিস্তান তাদের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এমন মন্তব্য করেছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন মহল তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে বলে আশঙ্কা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হলে তালেবান ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের, তালেবান জোর করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলে পাকিস্তান কী করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আমরা সবই করব। আমাদের দেশের সব পক্ষই এই সিদ্ধান্তে একমত।
তালেবান জোর করে ক্ষমতা দখল করলে কী ঘটবে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, পূর্বে আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত খোলা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা ৯০ শতাংশ সীমান্তে বেড়া দিয়েছি। তালেবান ক্ষমতা দখল করলে আমরা সীমান্ত বন্ধ করে দেব। দুটো কারণে তিনি এটা করবেন বলে উল্লেখ করেন। সেই দুই কারণ হলো-পকিস্তান কোনো সংঘর্ষে যাবে না আর দ্বিতীয় কারণ হলো, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে শরণার্থীর ঢল বন্ধ করা।
তালেবান জোর করে ক্ষমতা দখল করলে পাকিস্তান তাদের স্বীকৃতি দেবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ যে সরকারকে পছন্দ করবে পাকিস্তান শুধুমাত্র সে সরকারকেই স্বীকৃতি দেবে।
জাতিসংঘ বলছে, গত দুই মাসে তালেবান আফগানিস্তানের চার’শ জেলার মধ্যে ৮০টির অধিক জেলা দখল করে নিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের কোনো না কোনো জেলার পতন হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনাপ্রত্যাহার বিলম্বিত করার আহ্বান জানাবেন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইতোমধ্যে বলেছেন, আফগানিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আফগানিস্তানের মানুষ। অথ্যাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিগত ২০ বছরের মতো আর আফগানিস্তানে সেনা রাখার ইচ্ছা নেই।
সূত্র: তোলো নিউজ