নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটবোন রোকেয়া বেগম। গত বুধবার সন্ধ্যায় তার বাসায় হামলার ঘটনায় এ মামলা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ৩২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন তিনি। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড হয়নি বলে অভিযোগ রোকেয়া বেগমের। পরে সেটি রেকর্ড করে পুলিশ।
রোকেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, এজাহারে ওই ঘটনার ‘নির্দেশদাতা’ মেয়র কাদের মির্জার নাম থাকায় পুলিশ ‘টেকনিক্যালি অ্যাভয়েড’ করেছে। এজাহার দেওয়ার পর পুলিশ তাকে মেয়র কাদের মির্জার নাম বাদ দিতে বলেছে। তবে ওই নাম বাদ দিলে মামলার প্রয়োজন নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রোকেয়া বেগম।
রোকেয়া বেগম বলেন, সেদিন কেচ্ছা রাসেলসহ যারা আমার বাসায় হামলা চালিয়েছে সবাই কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার (কাদের মির্জা) নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে হত্যা করতে এসেছিল।
থানায় দেওয়া অভিযোগে ভাই কাদের মির্জাকে ৪ নম্বর আসামি করেছেন তার বোন। প্রধান আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ উল্যাহ রাসেল প্রকাশ কেচ্ছা রাসেলকে। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এজাহারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ১০ ফুট দূরে কাদের মির্জার ছোটবোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এ হামলার জন্য তার ভাই বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজনকে দায়ী করেন। রোকেয়া বেগমের ছেলে ও সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত মেয়র কাদের মির্জাবিরোধী আওয়ামী লীগের অনুসারী এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থক।