সাভার থানায় পরীমনির সাড়ে ৩ ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীমনি
পরীমনি। ফাইল ছবি

নিজের দায়ের করা ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলার অগ্রগতি দেখতে রোববার (২৭জুন) সাভার মডেল থানায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি সাভার মডেল থানায় প্রবেশ করেন। এরপর কর্তব্যরত পুলিশ থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়।

এসময় থানার ভেতর গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। বেলা আড়াইটা থেকে সাভার মডেল থানা ফটকে পরীমনির সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন গণমাধ্যমকর্মীরা। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে থানা থেকে গাড়িতে করে বের হন নায়িকা।

এরপর থানার প্রধান ফটকের বাইরে গাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। তিনি জানান, মামলার অগ্রগতি দেখতেই আমি থানায় এসেছি। আরো আগেই আসতাম কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারনে আসতে পারিনি। যেহেতু শাটডাউন হয়ে যাবে, তাই আজকে এসেছি।

এতো সময় থানাতে কী করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার অগ্রগতি জানতে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতেই থানায় এসেছিলেন। সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কী কথা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোট ক্লাবে যা হয়েছিল সেগুলো আমাকে বলতে হয়েছে। তারা তো সেই ঘটনা আমার কাছ থেকে শোনেনি। পুলিশের ঘটনা শোনা উচিত। এ জন্যই এত দেরি হয়েছে।

নায়িকা আরও জানান, থানা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথমেই মিষ্টি খাইয়ে আপ্যায়ন করেছে পরে দুপুরের খাবারও খাইয়েছে।

ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে পরীমনি বলেন, আমি তো আশাবাদী। সবাই আমাকে এত সাপোর্ট দিচ্ছে, এতে আমি খুবই প্লিজড।

সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরীমনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আপনাদের সহযোগিতার কারনেই পুলিশ এতো দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনেছে। সে জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

এদিকে এই মামলার দুই আসামি নাসির ও অমিকে গত ২৩ জুন ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান।

গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন— তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এ অভিযোগ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন।

১৩ জুন রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে নাসির ও অমি এবং তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

শেয়ার করুন