সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর অতীশ দীপংকর রোডের স্থানে স্থানে অফিসগামী যাত্রীরা ভিড় করেছেন। কিন্তু কোথাও বাস নেই, মিনিবাস নেই। অটোরিকশাও কম। যে রিকশাগুলো চলছে সেগুলোর ভাড়াও বেশি। বাস চলতে পারে বলে অপেক্ষা করছেন অনেকে, কিন্তু বাসের দেখা নেই।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ দফায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করার প্রথম দিনের একটি চিত্র এটি।
গণপরিবহনন চলাচল বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। অফিসগুলোকে তাদের কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বহু প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। ফলে অফিসগামীদের মাঝে ভোগান্তির সেই পুরোনো চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
সোমবার সকালে দেখা গেছে কেউ কেউ পিকআপে উঠেও অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। খিলগাঁও উড়ালসেতুর কাছে হেঁটে রওনা দিচ্ছিলেন আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ফকিরাপুলে অফিসে কাজ করেন। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে কোনো বাহন না পেয়ে পরে হাঁটতে শুরু করেছেন।
রাজধানীর শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, কারওয়ান বাজার, নীলক্ষেত, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, আসাদগেটসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গণপরিবহনের অভাবে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
মতিঝিল যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে অপেক্ষা করছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রিকশায় ভাড়া চাইছে ৪০০ টাকা। অটোরিকশাও কম। তাই হেঁটেই রওনা দেবো। তিনি জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী যান চলাচল করছে রাজধানী ঢাকায়। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনেও উঠেছেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকার কাছের জেলাগুলো থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে অনেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপে উঠছেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলমান বিধি নিষেধের মধ্যেই ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় নয়দিনের বিশেষ লকডাউন শুরু হয়। এরইমধ্যে গতকাল বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে- যেখানে আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।