ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, ভাঙনের কারণে দেশে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৭১ দশমিক ৯৫ একর। দেশের বর্তমান বিধিবিধান অনুযায়ী সিকস্তি (নদী গর্ভে বিলিন হওয়া) জমির খাজনা আদায়ের সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বগুড়া-৫ আসনের সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ভূমিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সিকস্তি জমি রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। বিভাগভিত্তিক সিকস্তি জমির মধ্যে- ঢাকা বিভাগে ৪৯ হাজার ১৪২ দশমিক ৯৮ একর, চট্টগ্রামে এক লাখ ৭৩ হাজার ১৬২ দশমিক ৯৩ একর, খুলনায় ৩০ হাজার ৬৭১ দশমিক ১৫ একর, বরিশালে এক লাখ ৪৪ হাজার ২৮৩ দশমিক ৭৭ একর রাজশাহীতে ৯৭ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৮৪ একর, রংপুরে ১৫ হাজার ৪৮ দশমিক ৭৮ একর, সিলেটে ৩১ দশমিক শূন্য ৭ একর এবং ময়মনসিংহে চার ৯৬৭ দশমিক ৪৪ একর জমি রয়েছে।
এদিন ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী জানান, সামাজিক বনায়নের আওতায় এ পর্যন্ত এক লাখ ৫১১ দশমিক ৭৮ হেক্টর উডলট ও ব্লক বাগান এবং ৭৪ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে গত ১০ বছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৬৯১ জন ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বনের পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর। যা মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে, বৃক্ষআচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।