এক দিনে রেকর্ড ৮৮২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত, মৃত্যু শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৮২২ জন, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।এছাড়া, গত এক দিনে মারা গেছেন আরও ১১৫ জন। এ নিয়ে টানা চার দিন দেশে শতাধিক মৃত্যু হলো করোনায়।

এদিকে গত এক দিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে আগেরদিনের তুলনায়। শনাক্তের হার ২৫.১৩ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে।

universel cardiac hospital

আজ বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৮২২ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ৪৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ হাজার ৫০৩ জন করোনায় মারা গেলেন।

এদিকে গত একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৫০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।

এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

শেয়ার করুন