১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে সাহসী প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বেশিরভাগই এখনও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্যারিসে জেনারেশন ইক্যুইটি ফোরামে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি এ অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি। ‘লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত হচ্ছে এ বছরের ফোরাম।
ফোরামে ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে নারীদের ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফোরামে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেক স্টার্টআপ ও ই-কমার্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০২৬ এর মধ্যে ২৫ ভাগ এবং ২০৪১ এর মধ্যে ৫০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির অঙ্গীকার করছি।’
তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে সাহসী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে সেসব প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই এখনও পূরণ হয়নি। বৈশ্বিকভাবে, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং শ্রমশক্তি হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ অনুপ্রেরণাদায়ী নয়। আজ মাত্র ২৫ ভাগ সংসদ সদস্য নারী, যেখানে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনও পুরুষের তুলনায় ৩১ ভাগেরও কম। আমাদের অবশ্যই সাহসী নীতি ব্যবস্থা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে।
নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের নেয়া উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নকে আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন আইটি খাতে আক্ষরিকভাবেই নারীদের সংহত করেছে। আমাদের সরকার আইটি খাতে নারী পেশাদার ও উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি চালু করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে আমরা অনেকগুলো ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহার করছি। সাইবার প্লাটফর্মে নিরাপত্তা বাড়াতে গত তিন বছরে ৭১ হাজারেরও বেশি নারী শিশু-কিশোরীকে সাইবার সচেতনতা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।