করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে বিনা কারণে বের হওয়ায় রাজধানীতে ৩২০ জন গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া ট্রাফিক আইন অমান্য করা ও গাড়ি নিয়ে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ৬৮টি গাড়ির মালিককে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে অভিযানে ডিএমপির ৮টি বিভাগ এসব আইনি ব্যবস্থা নেয়।
সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় সারাদিনে গ্রেফতার হয়েছেন ৩২০ জন। এরমধ্যে ২০৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। আর ট্রাফিক আইন অমান্য করা ও গাড়ি নিয়ে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ৬৮ জনকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীতে ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। আর জরিমানা করা হয় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায় করা হয় গুলশান বিভাগ থেকে। মামলা দেয়া হয় ২১টি গাড়ির এবং জরিমানা করা হয় ৮৯ হাজার টাকা।
এছাড়া রমনা বিভাগে ৪৫টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয় ৭৯ হাজার ৩৫০ টাকা। লালবাগ বিভাগে ৩৭টি গাড়ির মামলায় জরিমানা ৪৮ হাজার টাকা, মতিঝিল বিভাগে ২৮টি গাড়ির মামলায় জরিমানা ৬০ হাজার ২০০ টাকা, ওয়ারী বিভাগে ১৫টি গাড়ির মামলায় জরিমানা ৭০ হাজার টাকা, তেজগাঁও বিভাগে ১২টি গাড়ির মামলায় জরিমানা ২৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং উত্তরা বিভাগে ১৮টি গাড়ির মামলায় জরিমানা করা হয় ৬৭ হাজার ৭০০ টাকা।
লকডাউন প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রজ্ঞাপনে যাদের বের হওয়ার অনুমতি আছে, আজ শুধু তারাই বের হচ্ছেন। তবে অনেকের অভ্যাস প্রথম দুই দিন মানার পর আর কেউ নিয়ম মানতে চান না। তবে ডিএমপি সদস্যরা লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য মাঠে রয়েছেন।
এর আগে বুধবার (৩০ জুন) লকডাউন প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ অকারণে ঘর থেকে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ব্যবস্থা নেব। কেউ অকারণে বের হলেই বেশ আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। যানবাহন ব্যবহার করলে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেব। কেউ অকারণে বের হলে তাকে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে, যেটি আমরা এর আগে কখনো করিনি। এবার আমরা এই অবস্থান পর্যন্ত যাব। আমরা অত্যন্ত শক্ত অবস্থায় থাকব’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ডিএমপি কমিশনার।