বায়তুল মোকাররমে উপস্থিতি কম, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা
ফাইল ছবি

কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে বায়তুল মোকাররমে আজ নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের সংখ্যা ছিল কম। ফলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা গেছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করেছেন উপস্থিত মুসল্লিরা।

শুক্রবার জুমার নামাজে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল মুসল্লিদের চলাফেরা ও অবস্থান। মূল চত্বর ছাড়া বারান্দা-সিঁড়িসহ বিভিন্ন স্থান প্রায় খালি ছিল। যেখানে অন্যান্য জুমায় নিচের মার্কেট চত্বর বা আশপাশের ফাঁকা স্থানে কাতার করে নামাজ আদায় করতে দেখা যায় মুসল্লিদের।

universel cardiac hospital

মসজিদে দেখা যায়, মূলভবনে ভেতরে একটির পর একটি কাতার ছেড়ে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া বেশিরভাগ কাতারেই দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হয়েছে। পাশাপাশি অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। আগত মুসল্লিদের বেশিরভাগ অংশকেই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে দেখা গেছে। তাদের হাতে ছিল জায়নামাজও।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে কতিপয় বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এরমধ্যে যেসব শর্ত পালন করতে বলছে-

ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।

এছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে; সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

এদিকে কঠোর লকডাউনের কারণে স্বাভাবিক সময়ের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বায়তুল মোকাররমে এসে নামাজ পড়ার সুযোগ নেই। গতকাল রাস্তায় বিভিন্ন চেকপোস্টে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা রোধে তল্লাশি করে জেল জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও দূরপাল্লার কোনো পরিবহন নেই রাস্তায়।

এছাড়া জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে এবং পরে মসজিদ ও উপাসনালয়ে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ রয়েছে। হচ্ছে না কোনো মিলাদ মহাফিলও।

শেয়ার করুন