প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় এখনো বিপর্যস্ত বিশ্ব। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ। সংক্রমিতের তালিকাতেও উঠছে লাখ লাখ মানুষের নাম।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ছয় হাজারের বেশি মানুষ। তাদের নিয়ে করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে ভাইরাসটি নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের দেহে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। মৃত্যুতে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। এর ফলে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখের ঘর।
মঙ্গলবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ২১০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ২০৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৪৮০ জনে।
এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৪১৫ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২১ হাজার ৩৩৫ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭০৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৭ লাখ ৯২ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৯ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১০ জন।