রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহালের পর কাশ্মীরে নির্বাচনের দাবি নেতাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মীর
ফাইল ছবি

রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহাল করার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) বা ‘গুপকার’ জোট ।

সোমবার ‘গুপকার’ জোট জানিয়েছে, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বদলীয় বৈঠকের ফল দেখে তারা হতাশ হয়েছেন। খবর দ্য উইকের।

universel cardiac hospital

জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি না দেওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা চান, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহালের পর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।এর পরই সেখানকার নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের ইচ্ছার কথা জানালেন।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধাসংবলিত ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এর পরেই সেখানে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গ্রেফতার হন বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

পরবর্তীতে এসব ধারা পুনর্বহাল করার জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপিসহ সাতদলীয় জোট ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’(পিএজিডি) গঠন করে, যা ‘গুপকার’ জোট নামেও পরিচিত।

এর সভাপতি নির্বাচিত হন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ। সহসভাপতি হন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা অমিত শাহ ওই জোটকে একসময় ‘গুপকার গ্যাং’বলে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পরে গত ২৪ জুন অবশ্য গুপকার জোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন।

এবার সেই বৈঠকের ফলকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করা হয়েছে গুপকার জোটের পক্ষ থেকে।

পিএজিডি মুখপাত্র ও সিপিআই (এম) নেতা এমওয়াই তারিগামীর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে তার বাসভবনে গুপকার জোটের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের সহসভাপতি ও পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি, তারিগামী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা হাসনাইন মাসুদি, পিপলস মুভমেন্টের প্রধান জাভেদ মুস্তফা মীর এবং আওয়ামী ন্যাশনাল কনফারেন্সের সিনিয়র সহসভাপতি মুজাফফর আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।

এমওয়াই তারিগামীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে— পিএজিডি সব সাংবিধানিক, আইনি এবং রাজনৈতিক উপায় ব্যবহার করে ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য যৌথভাবে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ওই পরিবর্তনগুলো পূর্বাবস্থায় আনার জন্য পিএজিডির সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সীমানা পুনর্বিন্যাস কমিশনের সঙ্গে বৈঠকসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পিএজিডি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের অবস্থান থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

শেয়ার করুন