অন্ধকারে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন লাখ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি ও এইচএসসির ৩ লাখ পরীক্ষার্থী। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যদের দূরশিক্ষণের আওতায় আনা হলেও বাউবির শিক্ষার্থীরা তা থেকেও বঞ্চিত ছিল।

বর্তমানে এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও তাতে যুক্ত নেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বর্তমানে এ দুই স্তরে অটোপাস নাকি সেশনজটে ফেলা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার রয়েছেন তারা।

universel cardiac hospital

জানা গেছে, চলতি বছর কয়েকদফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা থাকলেও করোনা সংক্রমণের হার না কমায় সেটি সম্ভব হয়নি। আর জটিলতায় চলতি বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ীই এই দুটো পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেটাও সম্ভব না হলে অন্তত অ্যাসাইনমেন্ট পর্যালোচনা করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশনের পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একই সময়ে বাউবির অধীনে এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের ভবিষ্যত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

বাউবির একাধিক এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর জেনারেল শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া হলেও আমাদের এর আওতায় আনা হয়নি। বর্তমানে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার শুরু করা হলেও তাদের আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী যুক্ত হতে পারছে না। এখানো পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কর্মজীবী হওয়ায় দূরশিক্ষণে যুক্ত থাকা অসম্ভব।

তারা বলেন, আমাদের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন কাজকর্মে যুক্ত। পাশাপাশি তারা পড়ালেখা করছে। এ কারণে ছুটির দিন ক্লাস হওয়ায় সেদিন উপস্থিত হতেন। এ অবস্থায় পরীক্ষা হবে কি-না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।

তবে পরীক্ষার পরিবর্তে অটোপাস দেয়ার পক্ষে শিক্ষার্থীরা। আবার পরীক্ষা হলেও কী প্রক্রিয়ায় হবে সেটি নিয়ে দোটানায় আছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসিমা বেগম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কিছুদিন দূরশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে তাদের স্টাডির সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের শিক্ষকরাও তাদের প্রতি যথেষ্ট কমিটেড। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কিছু শিখে যাক। রেগুলার শিক্ষার্থীদের চেয়ে যাতে কোনো অংশে পিছিয়ে না থাকে।

তাদের অটোপাস বা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি বৈঠক আছে। আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত একা দেয়ার সুযোগ নেই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আছে। সেখানে সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পরীক্ষার বিষয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, এসএসসি, এইচএসসি শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা অন্তত কিছু পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। পরীক্ষা নিলেও যেগুলো অনলাইনে নেয়া সম্ভব সেগুলোই হবে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

শেয়ার করুন