আরএসএফের প্রতিবেদন বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তের অংশ: বিএফইউজে

ডেস্ক রিপোর্ট

বিএফইউজে-আরএসএফ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার শিকারি’ উল্লেখ করে সম্প্রতি প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটিকে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ বলে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ ওই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্দেশ্যমূলক।’

universel cardiac hospital

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএফইউজে মনে করে, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এই অবমাননাকর ও উদ্ধত্যপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। টিভি চ্যানেলের জন্য সম্প্রচার নীতিমালাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের আপৎকালে আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা থেকে প্রতিবছর শত শত অসুস্থ, অসহায়, অসচ্ছল সাংবাদিক চিকিৎসাসহ নানাবিধ সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়াও করোনা মহামারির এই আপৎকালে তিনি সারাদেশের হাজার হাজার সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। যা এই উপমহাদেশে বিরল দৃষ্টান্ত।

মোল্লা জালাল ও আবদুল মজিদ বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের বিকাশ সাধন ও বিস্তারে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বেসরকারি খাতে অর্ধশতাধিক টিভি চ্যানেল, ৩ হাজারেরও বেশি সংবাদপত্র, দুই শতাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল অনুমোদন পেয়েছে। তাছাড়া অনেক আইপি টিভি অনুমোদনের অপেক্ষায়।

বিএফইউজে নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে মানহানিকর মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেফতারের পরিবর্তে সমন জারির বিধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সংবাদ প্রকাশ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনে সারাদেশে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার সমাধানে ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্পে শতশত সাংবাদিককে প্লট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসাস্থল।’

তারা আরও বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস কী তথ্যের ভিত্তিতে, কার স্বার্থে এই ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করল, তা বোধগম্য নয়। এর আগেও আল জাজিরা একই ধরনের অপপ্রয়াস চালিয়েছিল।

বিএফইউজে মনে করে, এসব অপপ্রচার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্তেরই অংশ। বাংলাদেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ ধরনের চক্রান্তে মদত দিয়ে থাকে।

বিএফইউজে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেকের কাছেই ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেছে। তাই দেশে ও বিদেশে চক্রান্তকারীরা সক্রিয়। দেশের কল্যাণে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ ধরনের চক্রান্তের বিষয়ে সকল মহলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।

শেয়ার করুন