নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুনে মারা যাওয়া ৪৯টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের মর্গে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার মরদেহগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো ঢামেকে আনা হয়।
শুক্রবার দুপুরের পর ঢামেক মর্গে যখন লাশগুলো আনতে থাকেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা, তখন সেখানে ছুটে যাচ্ছেন নিহতদের স্বজন ও সহকর্মীরা। পোড়া মৃতদেহগুলোর বেশিরভাগই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ আর এর আশপাশের এলাকা। পুড়ে যাওয়া লাশের উৎকট গন্ধ আর লাশের বীভৎসতা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই প্রিয়জনদের খুঁজছেন স্বজনরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এখনো ভবনটি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ভবনের যে অংশগুলোর আগুন নিভে গেছে সেগুলো থেকে এ পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। ১ থেকে ৪তলা থেকে লাশগুলো বের করার পর সেগুলো গুনে গুনে গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। মর্গের ভেতর লাশের স্তুপ হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্বজনদের ভিড়ও। তাদের মধ্যে কেউ বন্ধুকে, কেউ ভাইকে, কেউ বোনকে, কেউ তার সহকর্মীকে খুঁজছেন। আবার কেউ মর্গের সামনে স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন।