হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে গুঞ্জন, টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র নিশ্চিত করেছে, টিম মিটিংয়ে টেস্ট ছেড়ে দেয়ার কথাই বলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
ধারণা করা হচ্ছিল, হয়তো দিনের খেলা শেষে বিসিবির সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় এ বিষয়ে কথা বলবেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তা হয়নি। সেখানে ছিল না অবসর বা এ সম্পর্কিত কোনো মন্তব্য। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটির বিষয়ে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
তবে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও, মাহমুদউল্লাহ যে ড্রেসিংরুমে টেস্ট থেকে অবসরের ভাবনার কথা জানিয়েছেন- তা নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। এমনকি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায়ও স্পষ্ট, অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। যেটিকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন পাপন।
মাহমুদউল্লাহর আকস্মিক অবসরের সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আমাকে অফিশিয়ালি কেউ কিছু বলেননি। তবে একজন ফোন করে জানিয়েছে, এই টেস্টের পর আর সে (মাহমুদউল্লাহ) টেস্ট খেলতে চায় না। ড্রেসিংরুমে নাকি সবাইকে সে এটা বলেছে। কিন্তু আমার কাছে এটা খুবই অস্বাভাবিক লেগেছে। খেলা তো এখনো শেষ হয়নি!’
এসময় বোর্ড সভাপতি জানান, কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য দেয়া শর্ত মোতাবেক তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলার ব্যাপারেই লিখিত দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এমনকি প্রয়োজনে টেস্টে বোলিংও করবেন বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এ কারণেই তাকে নেয়া হয়েছে দলে।
- আরও পড়ুন >> টেস্ট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণার গুঞ্জন
পাপনের ভাষ্য, ‘আমরা তো এবার ওদের সবার কাছ থেকেই লিখিত নিয়েছি ভবিষ্যতে তারা কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার চার-পাঁচ দিন আগে এটা নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) লিখেছে সে তিন ফরম্যাটেই খেলতে চায়। টেস্টের ক্ষেত্রে লিখেছে, সুযোগ পেলে আমি খেলতে চাই। সে জন্যই তাকে টেস্টে নেওয়া হলো।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি তাকে আমার বাসায় দুবার ডেকে জিজ্ঞেস করেছি এবং সে আমাকে নিশ্চিত করেছে সে টেস্ট খেলতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞস করেছি, প্রয়োজনে তুমি বল করবে তো? সে বলেছে, সে বলও করবে। ও এখন অবসরের কথা বলেছে, এটা তাই আমার কাছে একেবারেই আশ্চর্য লাগছে।’
পাপন মনে করেন, আবেগের বশে অবসরের বিষয়ে বলেছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার ধারণা, সে হয়তো আবেগের বশে বলেছে। নইলে বোর্ডকে লিখিত দেওয়ার পর টেস্টের মধ্যে এভাবে বলার কথা নয়। টেস্টের মাঝখানে এটা যদি সে করে থাকে, তাহলে সেটার খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খেলোয়াড়দের ওপর।’
মাহমুদউল্লাহর এমন সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করে পাপন আরও বলেন, ‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। কেউ না খেললে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সিরিজের মাঝখানে এসব বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো মানে হয় না।’