করোনায় শিশুসহ আরও ১৮৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

দেশে গত একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ মারা গেছেন ১৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬ হাজার ১৮৯ জনের। এদিকে গত এক দিনে কম নমুনা পরীক্ষায় কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও। উল্লেখিত সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭২ জন।

আজ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

universel cardiac hospital

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৮৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন ৮ হাজার ৭৭২ জন, যাতে শনাক্তের হার ৩১.৪৬ শতাংশ। শুক্রবার পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৫৮৬টি নমুনা, যাতে শনাক্ত হন১১ হাজার ৩২৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩০.৯৫ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১২১ জন পুরুষ এবং ৬৪ জন নারী। নতুন মৃতদের মধ্যে ৭০ জনই ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২০, রাজশাহীতে ১৩, খুলনায় ৫১, বরিশালে ১০, সিলেটে ৭, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন ও শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনার মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ১৮৯ জনে।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৭ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার, যা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

শেয়ার করুন