বাংলাদেশের দেয়া ৪৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল। ফলে পঞ্চম দিনের খেলায় জয়ের জন্য স্বাগতিকদের করতে হবে আরো ৩৩৭ রান। অন্যদিকে শেষ ৭ উইকেট তুলে নিলেই সিরিজের একমাত্র টেস্টে জয় পাবে সফররত বাংলাদেশ দল।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বল বলতে আসা তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার মিল্টন সুম্বা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্তই ব্যাট করছিলেন কাইতানো এবং টেলর। এ সময় টি-টোয়েন্টি মেজাজেই ব্যাট করতে থাকেন ব্রেন্ডন টেলর। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ৭৩ বলে ৯২ রানে মিরাজে বলে আউট হন। টেলর আউট হওয়ার পর ওপেনার কাইতানোকে এলবিডব্লিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরান সাকিব। ১০২ বল খেলে করেছেন মাত্র ৭ রান।
এদিকে ১৮ রানে ডিওন মেয়ার্স এবং ৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডোনাল্ড ত্রিপানো।
দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে তুলেন ৮৮ রান। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন সাইফ। কিন্তু ৩১তম ওভারে জিম্বাবুইয়ান পেসার এনগারাভার বলে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজফরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪৩ রান।
এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই হেসেছে ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন অপ্রতিরোধ্য ১৯৬ রানের জুটি। দুজনই তুলে নিয়েছেন শতরানের ইনিংস। অবশ্য এটিই সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। ১৯৬ বলে তার খেলা ১১৫ রানের ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো।
অন্যদিকে আগের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর এবার হারারেতেও শতরানের দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৮ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। তার এই ইনিংসটি পাঁচটি চার এবং ছয়টি ছয়ে সাজানো।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ অপ্রতিরোধ্য সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল, লিটন এবং তাসকিনদের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাহাড় সমান ৪৬৮ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৭৬ রানেই অলআউট হয়েছে রোডেশিয়রা। তাদের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ লিড পায় ১৯২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান নেন চারটি উইকেট। আর একটি উইকেট তাসকিনের।