শিরোপা কার হাতে উঠবে তা জানা যাবে আরও ২৪ ঘণ্টা পর। তবে তার আগেই নির্ধারণ হয়ে গেল কোপা আমেরিকার তৃতীয় হওয়া দলের নাম। শনিবার সকালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পেরুকে ৩-২ গোলে হারিয়ে এ খেতাব নিজেদের করে নিয়েছে কলম্বিয়া।
ব্রাজিলের কাছে প্রথম সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া পেরু ও আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নেয়া কলম্বিয়া মুখোমুখি হয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে কলম্বিয়া। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক লুইস দিয়াজ।
ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। বল দখলের লড়াইয়ে প্রায় সমানে সমান ছিল দুই দল। তবে আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়ানরা। যার ফলে গোলও বেশি পেয়েছে তারাই এবং টুর্নামেন্ট শেষ করল তৃতীয় হয়ে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে ওঠা ম্যাচটিতে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে গিয়ে পাল্টা আক্রমণে গোলটি করে পেরু। ক্রিশ্চিয়ান কুয়েভার পাস থেকে বল জালে জড়ান ইয়োশিয়াম ইয়োতুন।
এই গোল ফিরিয়ে দিতে অবশ্য বেশিক্ষণ সময় নেয়নি কলম্বিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরান তারকা মিডফিল্ডার হুয়ান কুয়াদ্রাদো। ডি-বক্সের বাইরে জন মেদিনাকে ফাউল করা হলে ফ্রি-কিক পেয়ে যায় কলম্বিয়া। সেখান থেকেই গোল করেন কুয়াদ্রাদো।
এর মিনিট বিশেকের মধ্যেই লিড নেয় কলম্বিয়া। ম্যাচে ৬৫ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল পেরু। সেই বল ক্লিয়ার করে দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে যায় কলম্বিয়া। পরে কামিও ভারগাসের পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বল জালে জড়ান লুইস ডিয়াজ।
পিছিয়ে পড়েও অবশ্য দমে যায়নি পেরু। সমতাসূচক গোলের খোঁজে তারা সফল হয় ম্যাচের ৮২ মিনিটের মাথায় গিয়ে। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন জিয়ানলুকা লাপাদুলা, ম্যাচে ফেরে ২-২ গোলে সমতা। লাপাদুলার গোলের এসিস্ট ছিল রাফায়েল গার্সিয়ার।
ম্যাচে তখন ২-২ গোলের সমতা, মনে হচ্ছিল টাইব্রেকারেই হয়তো নিষ্পত্তি ঘটবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা এক শটে পেরুর জাল কাঁপান কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড লুইস ডিয়াজ। যা তার দলকে পাইয়ে তৃতীয় হওয়ার খেতাব।
এই ম্যাচে জোড়া গোলের মাধ্যমে চলতি কোপা আমেরিকায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে সবার ওপরে উঠে গেলেন দিয়াজ। আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসির মতো তার গোলসংখ্যাও সমান ৪টি। তবে ফাইনালে মেসির সামনে সুযোগ থাকছে গোল বাড়িয়ে নেয়ার।