ইউরোর শিরোপা স্বপ্নপূরণ হলো না ইংল্যান্ডের, ইউরোও এলো না ঘরে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার রোমাঞ্চে ইংলিশদের হারিয়ে গত ৫৩ বছর পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ইতালি জাতীয় ফুটবল দল। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গ্যারেথ সাউদগেটেরে শিষ্যদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
টাইব্রেকারের প্রতিটি শট ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। ইতালিকে জয়ের জন্য শেষ পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হয়েছে। দুদলের প্রথম শটেই গোল এসেছে। ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ১-১। পরের রাউন্ডে আন্দ্রে বেলোত্তির শট ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড আটকে দিলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। শেষ তিন শটে ইতালি দুটি গোল দিলেও তিনটি শটে কোনো গোল পায়নি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে হেরেছিল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।
এবার ঘরের মাঠে শিরোপা জেতার উদ্দেশ্যে খেলতে নামা হ্যারি কেনরা ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায়। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোলটি করে করেন লুক শ। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড! উল্লাসে ফেটে পড়ল ওয়েম্বলির গ্যালারি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে যেন স্তম্ভিত হয়ে পড়ে ইতালি। গুছিয়ে উঠে বল দখলে রেখে আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে তারা। কিন্তু ইংলিশদের জমাট রক্ষণে ডি-বক্সের বাইরে অধিকাংশ ভেস্তে যাচ্ছিল।
এরপর ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য শট নিতে ইতালি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফেদেরিকো চিয়েসার নিচু শটটি পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়। বিরতির আগে আরেকটি হাফ-চান্স পায় তারা; এবার চিরো ইম্মোবিলের শট ব্লক করেন জন স্টোন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠা ইতালি ৫১ ও ৫৩ মিনিটের মাথায় আবারও পায় গোলের সুযোগ। কিন্তু এবারও ইনসিগনেনের শট টার্গেটে ছিল না।
অবশেষে ৬৭তম মিনিটে সমতাসূচক কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় মানচিনি বাহিনী। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মার্কো ভেরাত্তির হেডার ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড, কিন্তু ফিরতি চেষ্টায় লিওনার্দো বোনুচ্চির চেষ্টা আর ফেরাতে পারেননি।
এরপর কোনো দলই গোল দিতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানে নির্ধারণ হয় জয়-পরাজয়।