ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে জেরুজালেমে তার সরকারি বাসভবন ছেড়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক মাস পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়লেন। ১২ বছর ধরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন নেতানিয়াহু। সূত্র, আল জাজিরা।
রবিবার নেতানিয়াহু পরিবারের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মধ্যরাতের কিছু পরে নেতানিয়াহু পরিবার বেলফোর স্ট্রিটের বাসা ছাড়ে।’
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ঘুষ ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে এসব হচ্ছে ষড়যন্ত্র।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আমলে দুই বছরেরও কম সময়ে চারবার নির্বাচন হয়েছে। গত ১৩ জুন ডানপন্থী নাফতালি বেনেট ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তারপরও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি নেতানিয়াহু। এর মধ্যে তিনি বাসভবনে নিক্কি হেলি সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে নিক্কি হেলি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
জুনের শেষের দিকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়তে হবে। তিনি বাসা ছাড়েন রবিবার মধ্যরাতে। যেটি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে।
নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকালে তার বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, তার বিরুদ্ধে বিচার চলাকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। অনেকে তাকে ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ বলেও উপহাস করেছেন।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে বিদায় নেন। নেতানিয়াহুর আমলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইসরাইল। যাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন ট্রাম্প।