মিতু হত্যাকাণ্ডে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া নতুন মামলার পলাতক ৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১) ও মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু (২৮)।
সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাহীন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নতুন মামলার তিন পলাতক আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আজ (সোমবার) আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের আদেশটি শিগগিরই দেশের সবকটি স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
বাবুল আক্তার ছাড়াও ওই মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলম ওরফে কালু, সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।