বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের পূর্বের রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ে উপসর্গ নিয়ে ১১ ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৫৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে ২৪ ঘণ্টায় সব চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ৪৯২ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১০৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৪০ জন। সুস্থ হন ৬ হাজার ৯১৭ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝালকাঠি জেলায় ১০৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৮৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৪৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯১ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৯৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৫১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১৯ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৫৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৭ জন।
ভোলা জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩২৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০ জন।
বরগুনায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ জন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ২৭ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ৩১১ জন রোগী আছেন।
এর মধ্যে ৯৮ জনের করোনা পজিটিভ, ২১৩ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ২০০ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ১১০ জন পজিটিভ ও ৭৮ জন নেগেটিভ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৭৫ জন। আক্রান্তের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৬ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১২৮ জন।