পোশাক কারখানায় ছুটি ১৮ জুলাই, আগেই হবে বেতন-বোনাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউনে পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি

আগামী ২১ জুলাই দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সরকারি ছুটি থাকবে (২০-২২ জুলাই) তিন দিন। অন্যদিকে দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ যোগান দেয়া পোশাক খাতের শ্রমিকরা ছুটি পাচ্ছেন ১৮ জুলাই থেকেই। ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগে তাদের ধারাবাহিক ছুটি চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত।

মূলত শ্রমিকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ বাড়িতে ঈদ করতে পারেন এজন্যই তাদের ধারাবাহিক ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি পোশাক মালিক-রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র একাধিক সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

universel cardiac hospital

অন্যদিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। আর মালিকপক্ষ বলছে, তৈরি পোশাক কারখানায় ইতোমধ্যে বেতন দেয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন ও ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাস পরিশোধ করবেন মালিকরা। সরকারি সিদ্ধান্ত না হলেও মালিকরা নিজেদের উদ্যোগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করছেন।

পোশাক কারখানায় ছুটি বিষয়ে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শ্রমিকরা নিরাপদে থাকুক। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারের সাথে ঈদ করবে, এটাই আমাদের চাওয়া। শ্রমিকরা যাতে দল বেধে নিজ নিজ বাড়িতে না যান এ জন্য পর্যায়ক্রমে ১৮ জুলাই থেকে কারখানায় ছুটি দেবো।’

বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, প্রত্যেক ঈদ উৎসবেই দেখা যায় বেতন-বোনাস নিয়ে মালিকরা সমস্যা সৃষ্টি করেন। ঈদের দিনেও শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য কারখানায় অবস্থান করতে হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, ‘আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সব কারখানায় সম্পূর্ণ বেতন-বোনাস পরিশোধ করার আহ্বান থাকবে আমাদের। অনেক কারখানা ১৮/১৯ তারিখে বেতন-বোনাস পরিশোধের কথা বলছে। এর ফলে দেখা যাবে ব্যাংকের ঝামেলার কথা বলে শ্রমিকদের বেতন বোনাস অনিশ্চিত করে তুলবে মালিকরা।’

এ নিয়ে পোশাক শিল্প উদ্যোক্তা ও ফতুল্লা অ্যাপারেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘পোশাক কারখানাগুলোতে গত সপ্তাহে বেতন দেয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ কারখানা মালিক বেতন দেয়া শেষ করেছেন এখন তারা বোনাস দেয়ার চিন্তা করছেন। আশা করছি, কারখানা ছুটির আগেই সব শ্রমিক বেতন-বোনাস নিয়েই নিজ পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবেন।’

শেয়ার করুন