কোরবানির পশুর চামড়া যেন হেফাজত নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় না যায়

সম্পাদকীয়

কোরবানির পশুর চামড়া
ফাইল ছবি

আর মাত্র কয়েকদিন বাকী ঈদুল আযহা বা ক্বোরবানির ঈদের। এই ঈদের একটি বড় কাজ হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর পুত্র হযরত ইসমাইলকে কোরবানি করতে গেলে (ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মতে হযরত ইসহাক) আল্লাহর সন্তুষ্টিতে তিনি দুম্বা কোরবানি দিয়েছিলেন। ইব্রাহীম (আঃ)-এর এই কাজটিকে রসুল (সাঃ) মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেন। ঈদুল আযহার সময় মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।

কোরবানির পশুর মাংসের এক তৃতীয়াংশ গরীব মিসকিন ও স্বজনদের মাঝে বিতরণ করার বিধান রয়েছে। পশুর চামড়ার মূল্য দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে এসব পশুর চামড়া বা মূল্য বড় ছোট মাদ্রাসাগুলো নিয়ে যায়। অথচ দরিদ্র স্বজনদের মাঝে চামড়া বা এর মূল্য প্রদান করাই ধর্মীয় বিধান।

universel cardiac hospital

মাদ্রাসা বা তথাকথিত এতিমখানায় প্রদত্ত অর্থের একটা বড় অংশই মোহতামিম-মোদাররেস নামীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পকেটে চলে যায়, যা কোনো ক্রমেই ধর্মীয় বিধান সম্মত নয়।

এমতাবস্থায়, আসন্ন কোরবানির ঈদের সময়ে কোরবানির পশুর চামড়া বা এর মূল্য কিছুতেই যাতে, বিশেষতঃ হেফাজত নিয়ন্ত্রিত কওমি মাদ্রাসাসমূহে না যায়, যেমন জামিয়া ইউনুসিয়া, দারুল আকরাম বা সাজিদুর-মোবারকউল্লাহর অনুসারীদের নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাসমূহে না যায়, সেদিকে সকল ঈমানদার ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

সবশেষে সকল ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী তথা দেশবাসীকে জানাই ঈদ মোবারক।

শেয়ার করুন