শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকা ও ঘরমুখী মানুষের ভিড়

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

শিমুলিয়া ফেরিঘাট

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (বুধবার মধ্যরাত) থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

এ ঘোষণার পর বুধবার সকাল থেকেই লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকা ও ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের চাপ ছিল। কিন্তু আজ ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতেও মানুষ ছুটছে।

ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় যেমন আছে তেমনি দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছেন।

বুধবার সকাল ৯টায় শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উভয়মুখী যাত্রীর অনেক চাপ। যাত্রীরা জানিয়েছেন, চেকপোস্টগুলোতে আগের মতো কড়াকড়ি নেই। কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ও বাধা ছাড়াই ঘাটে আসছে যাত্রীরা। ফেরিতে দুই-একটি পশুবাহী ট্রাকও দেখা গেল।

বুধবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে, তাহলে দিনেই কেন বাড়ি ফিরছেন- এমন প্রশ্নে ফরিদপুরের ভাঙাগামী যাত্রী তালেব হোসাইন জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন না থাকলে অনেক ভিড় হবে তাই একদিন আগেই গ্রামে ফিরছি।

বরগুনা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী মালেক দেওয়ান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত জরুরি কাজ থাকায় লকডাউনের মধ্যেই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। কাজ শেষ করে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক সুপারিন্টেন্ডেন্ট (টিএস) মেহেদী হাসান জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। এ কারণে হয়তো চেকপোস্টে কড়াকড়ি কমে গেছে। আর সেজন্য আজ ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটে ছোট-বড় ১১টি ফেরিতে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, বুধবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন শিথিল হলেও আজ থেকেই ঘাটে চাপ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, পার্কিং ইয়ার্ডে দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

বুধবার মধ্যরাত থেকে সকল প্রকার নৌযান চলাচলের ঘোষণায় শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট, লঞ্চ ও ট্রলার মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা গেছে। ঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, যানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে।

শেয়ার করুন