কাজ করতে গিয়ে কাউকে অকালে জীবন দিতে হলে সেটা কারখানা নয়, মৃত্যুকূপ বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হওয়া হাসেম ফুড কারখানা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্ঘটনার জন্য একটা জাতীয় মানদণ্ড আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব করেন সাবেক এই শ্রমিক দল নেতা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দুর্ঘটনায় শ্রমিকেরা কী ক্ষতিপূরণ পাবে, নিহতেরা কী ক্ষতিপূরণ পাবে, আহতেরা কী ক্ষতিপূরণ পাবে, মালিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে, তা নির্ধারণ করা থাকবে এই মানদণ্ডে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা থাকলে কী ব্যবস্থা হবে, সবকিছু মানদণ্ডে থাকা দরকার।
বিএনপি নেতা বলেন, মনে রাখতে হবে মানুষ কাজ করতে যায় জীবন বাঁচানোর জন্য এবং জীবিকা অর্জনের জন্য। কাজ করতে গিয়ে যদি মানুষকে অকালে জীবন দিতে হয়, তাহলে তো সেটা কারখানা না, ওটা মৃত্যুকূপ। এটা তো কোনো রাষ্ট্রের মেনে নেওয়া উচিত না। অতএব এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আশা করব রাষ্ট্র এ দায়িত্ব পালন করবে।
গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গত ১৩ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এই বিএনপি নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে হাশেম ফুডস কারখানার অনেক ত্রুটি তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, কারখানাটার সুনাম আছে। তারা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু কারখানা দেখে সেটা মনে হয়নি। অতি সাধারণ কারখানার মতো। সেখানকার শেডগুলো ভালোভাবে করা হয়েছে বলে মনে হয়নি। যাওয়ার পথও সংকীর্ণ। যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে সমস্যা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ এবং বহির্গমনের ব্যবস্থাতো ছিল না বললেই চলে।