জার্মানি ও বেলজিয়ামে ভয়াবহ বন্যায় ১২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে জার্মানিতে মারা গেছে ১০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছে শত শত মানুষ। যাদের উদ্ধারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সূত্র: বিবিসি।
রেকর্ড বৃষ্টির পর নদীর পানি তীরবর্তী এলাকায় প্রবেশ করায় এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে দেশটির দক্ষিণের একটি প্রদেশে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা এই দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দুষছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে আরো বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শিল্পযুগ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার বলেছেন, তিনি এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেখে ‘স্তব্ধ’।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সমস্ত জায়গায় বন্যার ক্ষত রয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’
শুক্রবার কঠিন পরিস্থিতির কারণে জার্মানিতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে। যাদের স্বজনেরা নিখোঁজ রয়েছেন তারা উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। অপেক্ষা করছেন তাদের স্বজনকে পাওয়া গেল কি না?
টেলিফোন নেটওয়ার্ক সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক লাখেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারল্যান্ড, উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া ও রাইনল্যান্ড প্যালাটিনেট রাজ্য।
রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট রাজ্যের আরওয়েলের জেলার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার ১৩০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। এই সংখ্যা প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে।
ওই এলাকার একজন বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, গাড়ি ভেসে গেছে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ‘যুদ্ধের মতো’ একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।