করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে চারটি কারখানার ১২ হাজার শ্রমিককে এই টিকা দেয়ার কথা।
আজ রোববার সকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা ডেনিম কারখানায় নিবন্ধন ছাড়াই এনআইডি দিয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) মো. জাকির হাসান, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের হেড অব কান্ট্রি স্বপ্না ভোমিক, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রহমতুল্লাহ্, তুসুকা ডেনিম লিমিটেডের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের সিনিয়র সোশ্যাল কমপ্লিয়েন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান, কেয়ার বাংলাদেশের ডিরেক্টর হেলথ প্রোগ্রামার ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার এবং হেড অব আরবান হেলথ ডা. জহিরুল আলম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে। তবে টিকা নেয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, আমাদের টিকাদান কর্মসূচি মূলত হাসপাতালকেন্দ্রিক। কিন্তু আমরা পোশাক শ্রমিকদের জন্য গার্মেন্টসে গার্মেন্টসে গিয়ে টিকা দিচ্ছি। এ কাজটি করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের টিমকে প্রশিক্ষিত করেছি, ভ্যাক্সিনেটরদের প্রশিক্ষিত করেছি। আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, আজ ১২ হাজার টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব। যতক্ষণ এটা শেষ না হয় ততক্ষণ চলবে। আগামীকাল আরও ৮টি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সমস্ত গার্মেন্টসকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে।
গাজীপুরে একসঙ্গে চারটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের এনআইডি দিয়ে টিকাদান শুরু হয়েছে। কারখানা গুলো হচ্ছে- গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোনাবাড়ী এলাকায় তুসকা গ্রুপের দুটি ও ভোগড়া এলাকার রোজভ্যালি।