পৃথক জলাভূমি মন্ত্রণালয় গঠনের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ‍পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইডে প্রকাশিত ১৩২ পৃষ্ঠায় এই রায়ে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।

রোববার প্রকাশিত এই রায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কৃষিজমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি ও মেঘনা নদীর অংশের জমি ভরাটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে জলাভূমিকে পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি ঘোষণা করা হয়েছে। জলাভূমি সুরক্ষা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় আইন প্রণয়ণ করতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাভূমি রক্ষার ওপর প্রতি দুই মাস পর পর এক ঘণ্টার ক্লাস নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, রায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে জলাভূমি ভরাটের বিপক্ষে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। জলাভূমির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করতে বলা হয়েছে। এটাকে কন্টিনিউয়াস ম্যান্ডামাস করতে বলা হয়েছে। এখানে মাটি ভরাট বিষয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তা ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

রায়ে পরিবেশবান্ধব উন্নত দেশ গড়তে ১৪টি বিষয়ের ওপর মতামত দেওয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আইন প্রণয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে কমিশনও গঠন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের সব সড়কে সাইকেল লেন করার মতামত দিয়ে আদালত বলেছে, এটি দেশকে উন্নত করবে। সেই সঙ্গে প্লাস্টিকের ব্যাগ বন্ধেও মত এসেছে রায়ে। বিশ্ব ঐতিহ্যের যেমন সুন্দরবন, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ রক্ষা, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার রক্ষায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও গঠন করতেও মত দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব করতে এই রায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিসে দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কৃষিজমি, নিম্ন ভূমি জলাভূমি ও মেঘনা নদীর অংশের জমি ভরাটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

শেয়ার করুন