যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন স্বামী। এই ঘটনার ৪ দিন পর অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
রোববার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
সিআইডি জানায়, গত ১৩ জুলাই নাটোরের গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট ইউনিয়নে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী। এরপর থেকে অভিযুক্ত সাগর পলাতক ছিলেন। তিন বছর আগে সাগরের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের মুখে কাপড় গুজে লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করেন। এর একপর্যায়ে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে চালিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ঘটনার পর সিআইডির একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা আসামির সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চালানো হয়। সিআইডির একটি চৌকস দল নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর হোসেনকে কুমিল্লার মিয়ার বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর সাগর প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আমিন ও সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত।