কিশোরগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে পাঁচজনই পজিটিভ ছিলেন। অপর নয়জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬ জনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২৪ জন। বর্তমানে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৫০ আসনের মধ্যে ভর্তি আছেন ১৯৪ জন।
রোববার (১৮ জুলাই) রাতে প্রকাশিত সিভিল সার্জনের রিপোর্ট অনুযায়ী- গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় দুইজন, কুলিয়ারচর উপজেলায় একজন, ভৈরব উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন এবং অন্য হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপর দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সৈয়দ নজরুল মেডিকেলে উপসর্গ নিয়ে মারা যান আরও নয় জন।
জেলায় নতুন শনাক্তের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪১ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৭ জন,করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৬, কটিয়াদী উপজেলায় ২৫, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০, ভৈরব উপজেলায় ২২, নিকলী উপজেলায় ২, বাজিতপুর উপজেলায় ১০, ইটনা উপজেলায় ৩, মিঠামইন উপজেলায় ১ জন ও মিঠামইন উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১৯৪ জন। যাদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে রয়েছেন। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এক হাজার ৫৭০ জন। তাদের মধ্যে ১৯৪ জনই হাসপাতালে ভর্তি।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৫০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৬ জন।
সর্বশেষ তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬৪০, হোসেনপুর উপজেলায় ৪৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৫৯, তাড়াইল উপজেলায় ৫৫, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১৪১ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৯২, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩০, ভৈরব উপজেলায় ১৭০, নিকলী উপজেলায় ১৩, বাজিতপুর উপজেলায় ৫২, ইটনা উপজেলায় ৩০ ও মিঠামইন উপজেলায় ১৫ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন।