খাদ্যপণ্যের মিল-কারখানা ও পশুর চামড়ায় শিথিলতা, বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশাসনে পদোন্নতি
ফাইল ছবি

করোনা মহামারি রোধে ঈদের পর ১৪ দিনের যে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার সেই সময় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। তবে সেই সময় পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য সব কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

আজ সোমবার এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব কার্যাবলি আরোপিত বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াকরণ মিল-কারখানা এবং কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।

এছাড়া ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার গত ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে। শিথিলতা শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করল সরকার।

যদিও ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও পোশাক কারখানা খোলার দাবি জানিয়েছিল গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে এই দাবিতে সাড়া দেয়নি সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আগেই জানিয়েছিলেন বিধিনিষেধে গার্মেন্টসও বন্ধ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদের নতুন প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়নি। ফলে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট বিধিনিষেধ চলাকালীন গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা বন্ধই থাকছে।

শেয়ার করুন