ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন একহাজার দরিদ্র পরিবার

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

প্রধানমন্ত্রীর উপহার

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার একহাজার নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

universel cardiac hospital

উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আপনাদের পাওনা হিসেবে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারে-সরকারে পার্থক্য আছে। ইতোপূর্বে আপনারা আরও অনেক সরকার দেখেছেন। কোনো সরকারই জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় এগিয়ে আসেননি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ব্যতিক্রমধর্মী। তারা সব সময় জনগণের পাশে এগিয়ে আসে।

এ সময় তিনি কওমি মাদ্রাসার আলেমদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, কিছু লোক আছে তারা শুধু নেয়, কাউকে কিছু দেয় না। তারা সবসময় আল্লাহ-রসুলের কথা বলবে কিন্তু নিজেরা কারো জন্যে এক পয়সা ব্যয় করবে না। এসময় দুঃসময়ে জনগণের পাশে না থাকার জন্যে বিএনপি’র কড়া সমালোচনা করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খান জানান, সরকারের এই প্রক্রিয়া করোনা মহামারিকালে অব্যাহত থাকবে।

ত্রাণ বিতরণকালে চেয়ারে বসিয়ে দর্জি, বেদে সম্প্রদায়, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, পরিবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহকর্মী, সংবাদপত্র হকার, প্রতিবন্ধী, ফুটপাতের হকার, দোকানকর্মী, রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক চা বিক্রেতা ও ঋষি সম্প্রদায়সহ ১ হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, আধা কেজি চিনি, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি সুজি, এক প্যাকেট কুলসন সেমাই, ২০০ গ্রাম গুঁড়ো দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ ও দুটি লাক্স সাবান তুলে দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন