মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে দেশে আরও ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও সাত হাজার ৬১৪ জনের দেহে।
নতুন মৃতদের নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ হাজার ৪৯৮ জনে। নতুন শনাক্তদের নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৩ জনে।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৯৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩০.৪৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭০৪ জন। আর মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা নয় লাখ ৬১ হাজার ৪৪ জন।
এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। করোনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৭৩ জনের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ আর ৭৫ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগের ১১ জন, খুলনা বিভাগের ৩৮ জন, বরিশাল বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের ছয় জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জন।
এর মধ্যে পাঁচজন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৬ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। সেদিন করোনায় মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
গতকাল মঙ্গলবার ২০০ জন মারা যান অদৃশ্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে। তার আগের দিন সোমবার (১৯ জুলাই) ২৩১ জন মারা যা, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এছাড়া ১৮ জুলাই ২২৫ জন, ১৭ জুলাই ২০৪ জন, ১৬ জুলাই ১৮৭ জন, ১৫ জুলাই ২২৬ জন, ১৪ জুলাই ২১০ জন, ১৩ জুলাই ২০৩, ১২ জুলাই ২২০ ও ১১ জুলাই ২৩০ জন মারা যান।