জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করলে মাদ্রাসা খোলার প্রয়োজন নেই: মোকতাদির চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, যখন মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়া হবে, তখন সেখানে যেন জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসের কর্মসূচিগুলোও যেন সেখানে পালন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করলে মাদ্রাসাগুলো খোলার প্রয়োজন নেই। এসব কর্মসূচি পালন করানোর জন্য প্রয়োজনে আমরা মাদ্রাসাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করব।

গত ২৮ মার্চ হেফাজতের নেতাকর্মীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার পরবর্তী কার্যক্রম মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এর উদ্বোধন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

universel cardiac hospital

হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, অন্ধকারের শক্তি যারা, তারা আলোর পথে যে যাত্রা ও চর্চা হয় সেটা তারা পছন্দ করে না। তাই বারবার তারা আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধি চর্চা যেখানে আছে সেখানে তারা হামলা করছে। কারণ তারা মুক্তচিন্তার বিপক্ষে। তাদের চিন্তা নিজস্ব বলয়ের ভেতরে। তারা বলেন, তারা কুরআন হাদিস নিয়ে চর্চা করেন। কিন্তু এটা সত্য নয়।

তিনি আরও বলেন, একসময় জামিয়া ইউনিছুছিয়া মাদ্রাসার হুজুররা অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিলেন। এখন তারা এই পথ থেকে সরে এসেছেন। এখন তারা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের কৃষ্টি সংস্কৃতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, তারা যেন এ পথ থেকে সরে আসে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহআলম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে।

শেয়ার করুন