বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
ফাইল ছবি

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

সকাল ৭টা অনুষ্ঠিত হওয়া এ জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

universel cardiac hospital

জামাতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন ইমাম।

বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে অংশ নেয়া মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে পেরেছি। মহামারি করোনাভাইরাস কত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। সময়টাই বেঁচে থাকার জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, এ দুঃসময়ে জামাতে ঈদের নামাজ পড়তে পেরেছি, এজন্য অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ যেন করোনার এ বালাই দুনিয়া থেকে তুলে নেন, তার জন্য দোয়া করেছি। এখন বাসায় গিয়ে কোরবানি দেব।

নিহাদ হাসান নামের আরেক জন বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস আমাদের সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। আগে ঈদের যে আনন্দ ছিল, এখন তো আর নেই। অনেকটাই যন্ত্রের মত ঈদের জামাত আদায় করছি। তারপরও আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেছি।

নামাজ আদায় করতে আসা সাকলাইন বলেন, এবারই প্রথম ঢাকাতে কোরবানির ঈদ করছি। আল্লাহর রহমতে কোরবানির জন্য গরু কিনেছি। প্রথমবার বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতে অংশ নিতে এসেছি। সকাল সকাল কোরবানির অন্যান্য কাজ শেষ করব এজন্য প্রথম জামাতে অংশ নিয়েছি।

তিনি বলেন, মহামারির এ পরিস্থিতিতে সশরীরে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পেরে আমি খুশি। ঈদের নামাজ আদায় হয়ে গেছে। এখন আল্লাহর রহমতে ঠিকঠাকভাবে কোরবানির অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চাই। আল্লাহ যেন কোরবানি কবুল করে নেন এবং আমাদেরকে এই মহামারি থেকে মুক্তি দেন, সেই দোয়া করি।

এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী বা দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। এতে বায়তুল মোকারমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী ইমাম হিসেবে থাকার কথা রয়েছে। আর মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

সকাল ৯টায় হবে ঈদের তৃতীয় জামাত। এ জামাতে ইমামতি করার কথা রয়েছে পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হকের। এতে মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেম। আর মোকাব্বির হবেন মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

আর পঞ্চম ও শেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান এবং মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।

শেয়ার করুন