ভারতের মহারাষ্ট্রে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১২৯ জন মারা গিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। পুনেতে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে ভূমিধসে মারা গেছেন ৩৮ জন। গত বৃহস্পতিবার মুম্বাই শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের রাইগাদ জেলায় ভূমিধস হয়। সূত্র, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু সংখ্যা ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের অধিকাংশ রাইগাদ ও সাতারা জেলার বাসিন্দা।’
ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছেন অনেকে। সাতারা জেলায় ৩৭ জন মারা গিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা দাবি করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত অন্য জেলার মধ্যে রয়েছে চন্দরপুর ও গন্ডিয়া।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ৮৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ হাজার মানুষ কোলহাপুর জেলার। বন্যায় এই জেলার ৫৪টি গ্রাম পুরোপুরি তলিয়ে গিয়েছে। ৮২১টি গ্রামের আংশিক তলিয়েছে।
পঞ্চগঙ্গা নদীর পানি আশপাশের এলাকাকে প্লাবিত করেছে। ২০১৯ সালে পঞ্চগঙ্গা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্যা হয়েছিল। যারা ওই বন্যা দেখেছিলেন তারা বলছেন, সেবারের চেয়ে এবার পঞ্চগঙ্গায় পানির পরিমাণ অনেকে বেড়েছে এবং পানি অনেক উঁচু হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারতের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান বাহিনী, মহারাষ্ট্র রাজ্যের দুর্যোগ সাড়াদান বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর দল শনিবার উদ্ধার কাজে যোগ দিতে পারে।
এই দুর্যোগে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫ লাখ রুপি ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আহতদের হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।