শেষ পর্যন্ত করোনার টিকা নিলেন রিজভী!

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার টিকা নিলেন রিজভী
সংগৃহীত ছবি

দেশে করোনার টিকা আসার পর থেকে নানা কথাবার্তা বলে আসছিলেন বিএনপি নেতারা। টিকার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন দলটির কোনো কোনো নেতা। আবার কেউ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আগে টিকা নেয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বাঁচলে বা মরলেও টিকা শরীরে প্রবেশ করাবেন না বলে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত ১৫ মার্চ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এমনটা বললেও শেষ পর্যন্ত নিজের ঘোষণায় অটল থাকতে পারলেন না প্রবীণ এই রাজনীতিক।

universel cardiac hospital

সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্রে মডার্নার টিকা গ্রহণ করেন রিজভী।

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৫ মার্চের নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেছিলেন, ‘আমাকে অনেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন আপনি টিকা নেবেন কি না? আমি বলেছি, ন্যায়সঙ্গতভাবে আমি যে টিকার বিরোধিতা করেছি, বাঁচি আর মরি ওই টিকা আমার শরীরে প্রবেশ করতে দেবো না। আমি আমার কথা রেখেছি।’

সেসময় কেন টিকার বিরোধিতা করছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন রিজভী। তার দাবি ছিল, ‘করোনা টিকার ব্যাপারে আমরা এমনি এমনি বিরোধিতা করিনি। আন্তর্জাতিক নিউজ এজেন্সি রয়টার্স বলেছে, বাংলাদেশে যে টিকা পাঠাচ্ছে, ভারত সেটি ট্রায়াল করার জন্য পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা গবেষণাগারে যেভাবে তেলাপোকা, ব্যাঙ কেটে ইন্টারনাল এনাটমি জানতাম; ঠিক তেমনই আমাদের ল্যাবরেটরির ব্যাঙ হিসেবে গণ্য করছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। আর এ কারণেই তারা এখানে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা পাঠিয়েছে।’

রিজভী ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ও তাদের স্বজনরাও ইতোমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা ও মডার্নার টিকা নিয়েছেন।

গত ১৬ মার্চ করোনা আক্রান্ত হন রুহুল কবির রিজভী। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ১ এপ্রিল হঠাৎ করেই রিজভীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এবং অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন।

শেয়ার করুন