ভারতে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। ফলে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। ১৩২ দিন পর সংক্রমণের নিম্নগতি লক্ষ্য করা গেল। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৬৮৯ জন। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মার্চ সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার ৯০৩।
গত ১৭ মার্চের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়েই গেছে দৈনিক সংক্রমণ। এক সময় তা চার লাখের গণ্ডিও ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। অবশেষে চার মাস পর সংক্রমণ কমতে কমতে এই প্রথম ৩০ হাজারের নিচে নামল। একদিন আগেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৩৬১। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১৬ জনের।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণ কমলেও কেরালা ও মহারাষ্ট্রে এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ভারতে দৈনিক আক্রান্তের মতো কমতে শুরু করেছে দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৩ হাজারেরও বেশি। এর ফলে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নামল চার লাখের নিচে। চলতি বছর গত ২৫ মার্চ শেষবার দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখের কম। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সক্রিয় রোগী। এক সময় তা ৩৭ লাখও পেরিয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণতে কমতে শুরু করায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে। ভারতে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১শ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ হাজার ২৬৩ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে কেরালায়। সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৮৬। একই সময়ে মারা গেছে ১৩৫ জন।
করোনা মহামারির প্রথমদিকে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি থাকলেও গত কয়েকদিনে ওই রাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে কেরালা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার। একই সময়ে মারা গেছে ৫৩ জন।
এদিকে, আসামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৮, মনিপুরে ৯৮৯, মেঘালয়ে ৫৬৯, অরুণাচল প্রদেশে ৪৯০ এবং ত্রিপুরায় ৪৫৮।
তবে বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩১ জন, উত্তরপ্রদেশে ৫৩ জন, রাজস্থানে ১৮ জন, পাঞ্জাবে চারজন এবং মধ্যপ্রদেশে ছয়জন। অপরদিকে, গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রাপ্ত বয়স্ক সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।