মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুধু তিনিই নন, তার বড় ছেলে শাহেদ মুহিতেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রোববার তার করোনা পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানিয়েছেন তার বাড়ির সহকারী বাচ্চু মিয়া।
সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভালো থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বনানীতে নিজ বাসায় আছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেও আবুল মাল আবদুল মুহিত অনেক দিন ধরে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। বয়সের কারণে বাইরে চলাফেরাও বন্ধ। সার্বক্ষণিক বাসায় অবস্থান করছেন একাধিকবারের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন ও রাজধানীর ডেল্টা হাসপাতালের চেয়ারম্যান এ এস এ মুয়িয সুজন পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চাকরিতে। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ১৯৭১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন মুহিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। গত শতকের একেবারে শেষ দিকে নাম লেখান রাজনীতিতে।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করেন মুহিত। তবে প্রথমবার ভালো করতে পারেননি। হেরে যান আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কাছে। পরেরবার ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাইফুর রহমানকেই পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন। আবারও দায়িত্ব নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের।
ওই মেয়াদের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে ইস্তফার ঘোষণা দেন মুহিত। তার আসনটি ছেড়ে দেন ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেনকে। নৌকার প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে ড. মোমেন এখন বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।