ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় নামাজের ইকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
নিহত ব্যক্তি গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস (৪০)।
সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার গ্রামের জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় ইমামসাহেব জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ইকামত দিতে বলেন। ওই মসজিদে নিয়মিত ইকামত দিয়ে থাকেন একই গ্রামের বিপুল মোল্লা।
বিপুলের পরিবর্তে কেন জাহিদুলকে ইকামত দিতে বলা হলো এ নিয়ে মসজিদের ভেতর মোদাচ্ছের চিৎকার শুরু করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিহত মোদাচ্ছের হোসেন ও প্রতিপক্ষ জাফর মোল্লার সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামের বউবাজার এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক ঘটনাস্থল থেকে বলেন, ইকামত (তাকবির) দেওয়া নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে শুক্রবার সকালে বউবাজার নামক স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস নামে একজন নিহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।