শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে লাখো মানুষ
ফাইল ছবি

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণার পর কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবশেষে একদিনের জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি নিয়েছে সরকার। আজ শনিবার রাত থেকে রোববার পর্যন্ত সারাদেশে চলবে বাস ও লঞ্চ।

শনিবার সন্ধ্যার পর আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর পরপর বাস মলিকদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, আগামীকাল বাসও চলাচল করবে।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকামুখী যাত্রীদের পরিবহনের জন্য আগামীকাল সারাদিন সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল করবে। শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শ্রমিকদের আনার জন্য শনি এবং রোববার বাস চলাচলে বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে বিআইডব্লিউটিএর মিডিয়া কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আজ রাত থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

করোনা মহামারির প্রকোপ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামীকাল রবিবার থেকে দেশের রপ্তানিমুখী সব শিল্প কল-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

তবে শিল্প কল-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত এলেও সবধরনের গণপরিবহন বন্ধই থাকে। এই অবস্থায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া কর্মীরা শনিবার চাকরি বাঁচাতে নানাভাবে কর্মস্থলের পথে রওয়ানা করে। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এসব ভোগান্তির খবর গণমাধ্যমে আসার পর সরকার একদিনের জন্য গণপরিবহন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

আট দিনের শিথিলতার পর গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ, যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে সরকারের জারি করা আগের কয়েকবারের বিধিনিষেধে গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা খোলা থাকলেও এবারই প্রথম তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসে। তবে শুরু থেকেই মালিকরা গার্মেন্টসহ শিল্পকারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো শিল্পকারখানা খুলবে না।

তবে বৃহস্পতিবার মালিকরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গিয়ে বিধিনিষেধের মধ্যেই শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এর একদিনের মাথায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

শেয়ার করুন