৪০০ ডলারে ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ পদ কেনেন চিকিৎসক ইশরাত রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইশরাত রফিক ঈশিতা
ইশরাত রফিক ঈশিতা

ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করে ২০১৪ সালে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগদান করেন ইশরাত রফিক ঈশিতা (৩৪)। চাকরি ৪ মাস না যেতেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন উচ্চাভিলাষী তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক ওরফে বিশিষ্ট আলোচক ওরফে ডিপ্লোম্যাট ওরফে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওরফে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা। এরপরই শুরু তার বহুমুখী প্রতারণা।

গ্রেফতার ঈশিতা প্রতারণার কৌশল হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনীর র‌্যাংক ব্যাজ ও পদ অর্জনের চেষ্টা চালান। ফিলিপাইনে পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট (IPC.Phil.com) থেকে ৪০০ ডলারের বিনিময়ে সামরিক বাহিনীর মতো ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ পদটি গ্রহণ করেন। যার সত্যতা ও যথার্থতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া তিনি ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন ও কাউন্টার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনের সদস্য পদে সনদপ্রাপ্ত বলে ভুয়া প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।

নিজেকে চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। এমপিএইচ, এমডি, ডিওসহ নানা ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি ব্যবহার শুরু করেন। ভুয়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিভিন্ন মতবাদ প্রচার করতে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন সাইটে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিকেল বা থিসিসের ভুয়া প্রকাশনাও ব্যবহার করেন।

শুধু তাই নয়, তিনি নিজেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবেও পরিচয় দেন। করোনাকালেও থামেনি তার প্রতারণা। দুই দফায় ৬০ চিকিৎসককে তিনি সেমিনারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেন ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন। শেষমেশ ধোপে টেকেনি তার বহুমুখী প্রতারণা। পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হন ভুয়া বিশেষজ্ঞ, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি পরিচয় দেয়া বহুমুখী প্রতারক ইশরাত রফিক ঈশিতা (আইপিসি)।

রোববার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, র‌্যাব সদর-দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর অভিযানে রোববার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহআলী থানার মিরপুর-১ থেকে ঈশিতাকে (৩৪) সহযোগী শহিদুল ইসলাম ওরফে দিদারসহ (২৯) গ্রেফতার করা হয়। ঈশিতার বাবার নাম খন্দকার রফিকুল ইসলাম। ঢাকার কাফরুলে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।

অভিযানে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০ পিস ইয়াবা, ৫ বোতল বিদেশি মদ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেফতার ইশরাত রফিক ঈশিতা পেশায় একজন চিকিৎসক। যিনি বিভিন্ন মাধ্যমে একজন আলোচক, চিকিৎসা বিজ্ঞানী, গবেষক, পিএইচডি ডিগ্রিসম্পন্ন, মানবাধিকার কর্মী, সংগঠক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বলে ভুয়া পরিচয় প্রদান করে আসছিলেন। ভুয়া পরিচয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে তিনি ভুয়া নথিপত্র তৈরি ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ময়মনসিংহে অবস্থিত একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন। চার মাস পর শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত হন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে এমবিবিএস ছাড়া তার সব সনদই ভুয়া

গ্রেফতার ইশরাত রফিক ঈশিতা চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি এমপিএইচ, এমডি, ডিও তার সবই ভুয়া। ভুয়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তিনি প্রচার করতেন। বিভিন্ন সাইটে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিকেল বা থিসিস পেপার প্রকাশনা করেছেন মর্মে প্রচার করতেন। যেমন- Health problems and health care seeking behavior of street children in Dhaka City, Perception regarding acute respiratory tract infection among mothers of under five children ইত্যাদি তিনি মূলত অনলাইনে প্রাপ্ত বিভিন্ন গবেষণাধর্মী প্রকাশনা এডিট করে নিজের বলে চালাতেন।

বিদেশি সব সাফল্য এবং ডিগ্রিও ভুয়া

গ্রেফতার ঈশিতা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিদেশে প্রাপ্ত ভুয়া সাফল্য স্বীকৃতের প্রচারণা চালাতেন। ২০২০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে হোটেল পার্ক অ্যাসেন্টে অনুষ্ঠিত জিআইএসআর ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ইন্টারন্যাশনাল ইন্সপিরেশনাল ওমেন অ্যাওয়ার্ড (আইআইডব্লিউ ২০২০) পেয়েছেন, যা ৩৫ বছর বয়সী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ‘বছরের সেরা নারী বিজ্ঞানী’র পুরস্কার। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রিসার্চ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’, ভারতের ‘টেস্ট জেম অ্যাওয়ার্ড ২০২০’, থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনে অংশ নিয়ে ‘আউটস্ট্যান্ডিং সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন যদিও এর সবই ভুয়া।

শুধু তাই নয়, তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া নথি উপস্থাপন করে ২০১৮ সালে জার্মানিতে ‘লিন্ডা ও নোবেল লরিয়েট মিট-মেডিসিনে’ অংশগ্রহণ করেন বলে প্রচারণা চালান। প্রচার করতেন- তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বিভিন্ন সংগঠন যথাক্রমে আমেরিকান সেক্সুয়াল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল সার্ভিক্যাল ক্যান্সার কোয়ালিশন এবং গ্লোবাল গুড উইল হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার এসব অ্যাওয়ার্ড ও অনুষ্ঠানে উপস্থিতির ছবি এডিটিং করে গণমাধ্যমে পাঠাতেন ও ভার্চুয়াল জগতে প্রচারণা চালাতেন।

করোনাকেও পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন ইশরাত রফিক

গ্রেফতার ঈশিতা করোনা মহামারি পুঁজি করে ভার্চুয়াল জগতে প্রতারণায় সক্রিয় ছিলেন। আলোচক ও প্রশিক্ষকের ভূমিকায় তিনি অনলাইনে করোনা প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তিন/চার হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি দুই দফায় ৬০ চিকিৎসককে করোনা চিকিৎসার প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

টাকার বিনিময়ে বিদেশি ভুয়া সনদ বিক্রি করে প্রতারণা

ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আগ্রহীদের অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রি ও আকৃষ্ট করতেন তিনি। এই প্রতারণার জন্য ঈশিতা ‘ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডারস ফর হিউম্যানিটি’ নামক একটি অনিবন্ধনকৃত ও অননুমোদিত সংগঠন পরিচালনা করতেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যার ফেসবুক পেজ ও লিঙ্কডইন আইডি রয়েছে। সংস্থাটির সদর-দফতর নিউইয়র্কে বলেও প্রচার করতেন তিনি। এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতারণার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

প্রতারণার অংশ হিসেবে তিনি নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, বুরুন্ডি, যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, ওমান, সৌদি আরব ইত্যাদি দেশে অর্থের বিনিময়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন। এছাড়াও এ দেশগুলোকে এই সংগঠনের ব্যানারে সেমিনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি আয়োজন করা হয়ে থাকে বলে প্রচার করতেন তিনি। যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ভুয়া অ্যাওয়ার্ড বিতরণের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের সিংহভাগ গ্রেফতার ঈশিতা ও তার প্রধান সহযোগী দিদার গ্রহণ করতেন।

ইতোমধ্যে বুরুন্ডি ও আফগানিস্তানে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনের ব্যানারে গত ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ জন বাংলাদেশিকেও ‘ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডারস ফর হিউম্যানিটি’-এর সম্মাননা জানান তিনি। ওই অনুষ্ঠানে ঈশিতা সঞ্চালনা করেন।

যেসব সংগঠনের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার প্রচার করতেন ইশরাত রফিক

২০১৮ সালে সাল থেকে তিনি নিরাপত্তা, চিকিৎসা, মানবাধিকার, নারী শিশু অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে ভুয়া প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এর মধ্যে আমেরিকান সেক্সুয়াল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল সার্ভিকাল ক্যান্সার কোয়ালিশন এবং গ্লোবাল গুড উইল অর্গানাইজেশন, ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডারস ফর হিউম্যানিটি গ্লোবাল পিস চেইন, গ্লোবাল হিউম্যান রাইট প্রোজেক্ট, কাউন্টার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ কমিশন, ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন ইত্যাদি রয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর র‌্যাংক-ব্যাজ-পদবির ব্যবহার

গ্রেফতার ঈশিতা প্রতারণার কৌশল হিসেবে নিরাপত্তা বাহিনীর র‌্যাংক, ব্যাজ ও পদ অর্জনের চেষ্টা চালান। ফিলিপাইনে পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট (IPC.Phil.com) হতে ৪০০ ডলারের বিনিময়ে সামরিক বাহিনীর ন্যায় ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ পদটি গ্রহণ করেন। যার সত্যতা ও যথার্থতা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন, কাউন্টার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন ইত্যাদির সদস্য হিসেবে সনদপ্রাপ্ত বলে ভুয়া প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।

প্রতারণা-ভুয়া কার্যক্রমের প্রচারে আইপি চ্যানেল ব্যবহার

গ্রেফতার ঈশিতা নিজস্ব ভুয়া ডিগ্রি, পদ ও পদবির প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আইপি চ্যানেল ব্যবহার করতেন। প্রচারণার মাধ্যমে তিনি বিশিষ্ট আলোচক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে টকশোতে অংশগ্রহণ করতেন। গণমাধ্যমে তার টকশো, আলোচনা, সাক্ষাৎকার ও সাফল্যসমূহ প্রচারিত। মূলত তিনি তার ভুয়া সার্টিফিকেট, এডিটিং ছবি, মিথ্যা বিবৃতি ও তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সকলকে বিভ্রান্ত করতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী-শিশু অধিকার, চিকিৎসা বিজ্ঞান, করোনার বিষয়ে আলোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়ে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে অপচেষ্টা চালাতেন।

বাধা পেলে ভুয়া মেজর জেনারেল হিসেবে দিদারকে করতেন ব্যবহার

প্রতারণামূলক কার্যক্রমে বাধার সম্মুখীন হলেই ‘বস’ হিসেবে সহযোগী গ্রেফতার দিদারকে ব্যবহার করতেন। দিদার নিজেকে পরিচয় দিতেন মেজর জেনারেল হিসেবে। যিনি টেলিফোন বা অনলাইনে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঈশিতার পরিচয় ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন মিটিংয়ে বস বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভূমিকা পালন করতেন দিদার।

গ্রেফতার দিদার সম্পর্কে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১২ সালে একটি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা (ইঞ্জিনিয়ার) সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমাও সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একটি গার্মেন্টসে কমার্শিয়াল ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনিও ফিলিপাইনে একই সাইট হতে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মেজর জেনারেল পদ বাগিয়ে নেন। নিজেকে আইন সহায়তা কেন্দ্রের (আসক) ইয়াং ওয়ার্ল্ড লিডার ফর হিউম্যানিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ফাউন্ডার (প্রতিষ্ঠাতা) বা কর্ণধার হিসেবে উপস্থাপন করেন। একইভাবে তিনি দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার দূত বা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেফতার প্রতারক ঈশিতা ও দিদার যোগসাজশে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ভুয়া সদস্য, কর্ণধার বা দূত হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন