‘মডেল মৌ ও পিয়াসার কাজ ছিল আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌ ও পিয়াসা
মৌ ও পিয়াসা। সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার রাত ১০টার পর রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা জব্দ করা হয়।

দুই মডেলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হবে।

universel cardiac hospital

আটকের পর তাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দুজন পরস্পসের সঙ্গে যোগসাজশে নানা রকম অপরাধ করে আসছিলেন।

আটকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন, তারা দুজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়া গেছে। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানী। তারা দিনের বেলায় ঘুমান এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। পরে তারা সেসব ভিডিও ও ছবি ভুক্তভোগীদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, রবিবার রাতে প্রথমে বারিধারার পিয়াসার বাসায় অভিযান চালানো হয়। তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ পিয়াসাকে আটকের পর অভিযান চালানো হয় মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসায়। সেখান থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ, পাঁচ প্যাকেট ইয়াবাসহ মৌকে আটক করা হয়।

সরেজমিন মৌয়ের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল। মিরপুর রোড সংলগ্ন ২২/৯ বাবর রোডের ওই বাসার নিচতলায় থাকতেন মৌ। বাসার ভেতরে ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতার মৌ ও পিয়াসা তাদের বাসায় মদের আসর বসাতো মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। এই বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পেলে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগেও পৃথক মামলা করা হবে।

শেয়ার করুন