দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ২৪৬ জন।

উল্লিখিত সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৯৮৯ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৮২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ আট হাজার ৭৪৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। করোনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

মৃত ২৪৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ২২ জন, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের ১৬ জন, সিলেট বিভাগের ১৪ জন, রংপুর বিভাগের ১৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ জন।

মারা যাওয়া ২৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৭ জন এবং নারী ১০৯ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন বাসায় মারা গেছেন। একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ২৭৯ জন এবং নারী ৬ হাজার ৮৮৩ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৩, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৩, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪, ১১ থেকে ২০ বছরের ১ এবং ১০ বছরের কমবয়সী দুজন মারা গেছেন।

দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রথম কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও তা আস্তে আস্তে কমে আসে। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু। দেশে করোনা পরিস্থিতির জটিল আকার ধারণ করে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার দ্বারা। ভারতের এই ধরন দেশে শনাক্ত হওয়ার পর হু হু করে বাড়তে থাকে মৃত্যু ও শনাক্ত। গত জুলাইয়ে এক মাসেই মারা যায় ছয় হাজারের বেশি মানুষ।

এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ব্যাপারে সরকারকে বারবার সতর্ক করেছেন। সরকারও করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জুলাইয়ের শুরুতে টানা ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখে। তবে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয় বিধিনিষেধ। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলেও তা শিথিল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। দুই একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

শেয়ার করুন