আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী ৩০তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা। চলবে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত। করোনার কারণে এবারও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে বইমেলার অনুষ্ঠানমালা।
সম্প্রতি মুক্তধারা ফাউন্ডেশন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি দর্শকদের উপস্থিতিতে সীমিত আয়োজনে পুস্তক প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থাও থাকবে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এবারের বইমেলা যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের বাইয়ের এ বৃহত্তম বাংলা বইমেলার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- স্বাধীনতার ৫০ বছরের মূল্যায়ন, বহির্বিশ্বে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান ও গত পাঁচ দশকে অভিবাসী লেখকদের সেরা বাংলা বইয়ের পর্যালোচনা।
মেলার শেষদিন, অর্থাৎ ১ নভেম্বর নিবেদিত হবে মুক্তধারা বাংলা বইমেলার ৩০তম বার্ষিকীর প্রতি। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলা ভাষার একজন শ্রেষ্ঠ লেখককে তার সার্বিক অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হবে।
৩০তম বাংলা বইমেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন নবী। বিখ্যাত কবি আসাদ চৌধুরী মেলায় উদ্বোধক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। দুই বাংলা ও বহির্বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেখক-বুদ্ধিজীবী মেলার অনলাইন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
এবারের নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার স্লোগান ‘বই আমার শক্তি, বই আমার মুক্তি’। মেলার অনুষ্ঠানমালা মুক্তধারার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউবে সরাসরি দেখা যাবে নিউইয়র্ক সময় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
অনলাইন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে মেলার প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বই প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। নিউইয়র্ক সিটির কভিড নীতিমালা অনুসরণ করে দর্শকরা ব্যক্তিগতভাবে এ পুস্তক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
মেলার প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে বিস্তারিত খবর জানতে মুক্তধারার নিজস্ব ওয়েবসাইট www.nyboimela.org এ চোখ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।