আরও একবার বোলিং ঝলক দেখাল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় নেমে ১০৮ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারল না সফরকারী দল।
মিরপুরে টাইগারদের বোলিং তোপে ৭ উইকেটে ১২১ রানেই থেমে গেছে অসিরা। অর্থাৎ টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে হলে ১২২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বেশ দেখেশুনে শুরু করেন তাদের দুই ওপেনার অ্যালেক্স কারে আর গ্লেন ফিলিপে।
এবারও স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। মাহেদি হাসানকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম আহমেদের ওপর চড়াও হন কারে, জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান। তবে পরের ওভারে এসে এই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মাহেদি।
ওভারের তৃতীয় বলে ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে কারে (১১ বলে ১১) তুলে দেন মিড অফে, নাসুম নেন সহজ ক্যাচ। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর বল হাতে নিয়ে নিজের প্রথম ওভারেই জাদু দেখান মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারের অবিশ্বাস্য এক ডেলিভারিতে বোকা বনে যান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার গ্লেন ফিলিপে।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের ঘটনা। ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডার হজম করলেও এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান ফিজ। দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে দেন ডট।
চতুর্থ বলেই অবিশ্বাস্য এক ডেলিভারি। ফিলিপে (১৪ বলে ১০) ছাড়বেন কি খেলবেন, বুঝতে বুঝতেই পেছন দিক দিয়ে উম্মুক্ত হওয়া লেগ স্ট্যাম্প উড়ে যায় মোস্তাফিজের কাটারে।
৩১ রানে ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া এরপর দেখেশুনে খেলার কৌশল নেয়। তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন ময়েচেস হেনড্রিসক আর মিচেল মার্শ।
তাদের ৫২ বলে ৫৭ রানের জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিবকে সুইপ খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন হেনড্রিকস। ২৫ বলে করেন ৩০ রান।
মার্শ আরও একবার ধরে খেলছিলেন। তবে ভুল করে বসেন শরিফুল ইসলামের বেরিয়ে যাওয়া এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে। ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করা এই ব্যাটসম্যান ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের। একশর আগে (৯৯ রানে) ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
১৮তম ওভারে এসে অস্ট্রেলিয়ার দুঃখ আরও বাড়ান মোস্তাফিজ। টানা দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। অসি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড (৭ বলে ৪) লেগ স্ট্যাম্প খালি করে শট খেলতে গিয়েছিলেন, মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প যায় ওপরে।
পরের বলে অ্যাশটন অ্যাগারও হন বিভ্রান্ত। তার গ্লাভসে লেগে বল উঠে যায় ওপরে। উইকেটরক্ষক সোহান সেই ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। হ্যাটট্রিক ডেলিভারিটি ওয়াইড দেন মোস্তাফিজ। ফলে সুযোগ ছিল পরের বলে। এবার মিচেল স্টার্কেরও এজ হয়েছিল। একটুর জন্য ক্যাচ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া আর পুঁজিটা বড় করতে পারেনি। থেমেছে ৭ উইকেটে ১২১ রানের ছোট সংগ্রহ গড়েই।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট। সমান ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট শরিফুলের।ী