মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আলোচিত এই অভিনেত্রীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা আদালতে নেয়া হয়। আদালতের কাঠগড়ায় প্রবেশ করে এক পরিচিত আইনজীবীকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমনি ও দীপুর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার বিকালে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল ওয়াইন, ভয়ংকর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে এলিট ফোর্সটি।
এরপর আলোচিত এই অভিনেত্রীকে নেয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, পরীমনির বাসায় মিনিবার রয়েছে। মদের লাইসেন্স থাকলেও মেয়াদ পেরিয়েছে অনেক আগেই। পরীমনি ও নজরুল রাজসহ এই চক্র ডিজে পার্টি আয়োজনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করত। এসব অর্থ তারা বিভিন্ন ব্যবসার কাজে লাগাত।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, নজরুল রাজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তার কম্পিউটারসহ কিছু ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে। এগুলো থেকে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হবে। পরে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করে র্যাব।
পরীমনি ছাড়াও প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ ও মো. সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নগ্রাফি আইনে দুটি মামলা হয়।